PM Narendra Modi: "তুলনা করা বন্ধ করুন", পরীক্ষা পে চর্চায় অভিভাবকদেরও পরামর্শ মোদীর
IAF Pilots killed in Air Crash: হায়দরাবাদে ভেঙে পড়ল আইএএফ প্রশিক্ষণ বিমান, মৃত ২ পাইলট- নেপথ্যে কী?
Mizoram Assembly Election 2023: বড় ব্যবধানে এগিয়ে জেডপিএম, ৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি
Michaung Updates: রবিবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, বঙ্গে কতটা তাণ্ডব ঘটাবে মিগজাউম?
Congress Bank Account Frozen : স্বস্তির নিশ্বাস! চালু হল কংগ্রেসের 'ফ্রিজ' হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি
লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন সমস্যা বাড়ছে কংগ্রেসের। একদিকে যখন চিড় ধরছে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে, সেখানে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি। ভোটের আগেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন দলের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন। সেই সঙ্গে যুব কংগ্রেসের যাবতীয় অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তবে শুধুমাত্র ফ্রিজ করাই নয়, দলের ২১০ কোটি টাকার কর বকেয়া রয়েছে বলেও জানিয়েছে আয়কর বিভাগ। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পর আবারও অ্যাকাউন্ট চালু করে দেওয়া হয়। দলের তরফে দিল্লিতে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালে এ নিয়ে আবেদন করা হলে অ্যাকাউন্টগুলি ফের চালু করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অজয় মাকেন। জানা গিয়েছে, ক্রাউডফান্ডিং করে যে অর্থ জমা পড়েছিল দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে যুব কংগ্রেসের সমস্ত অ্যাকাউন্টও। লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যত অচল করে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সমস্ত আর্থিক কার্যকলাপ। তাঁর দাবি, “আমরা গতকাল জানতে পারি যে চেকগুলো দলের তরফে ইস্যু করা হয়েছে সেগুলো ব্যাঙ্কে কাজ করছে না। পরে জানতে পারি, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। রেহাই পায়নি যুব কংগ্রেসের অ্যাকাউন্টগুলোও। তার উপর আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে বিশাল পরিমাণে কর বকেয়া রয়েছে। কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস মিলিয়ে বাকি রয়েছে মোট ২১০ কোটি টাকার কর।"
লোকসভা নির্বাচনের আগে হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। শীঘ্রই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে। আর তার মধ্যেই গতকাল দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার কথা জানতে পারে কংগ্রেস। তার ফলে কোনও চেকও জমা নেওয়া হয়নি। এর জেরে কার্যত ভোটের আগে মাথায় হাত পড়ে যায় হাত শিবিরের। মাকেন বলেন, “একটা টাকাও খরচ করার মতো অবস্থা নেই। ইলেকট্রিক বিল, দলীয় কর্মীদের বেতন- কিছুই দেওয়া যাচ্ছিল না। শুধু ন্যায় যাত্রা নয়, দলের সমস্ত কাজই বন্ধ হয়ে যায়।”
তবে বিষয়টি জানার পরই দলের আইনজীবীদের তরফে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালে আবেদন করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরই ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টগুলি ছেড়ে দেয় আয়কর দফতর। চালু হয় অ্যাকাউন্টগুলি। যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। দলের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দেশের সবথেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা মোদী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের উপর বড় আঘাত হানা হয়েছে।"
Trending Tag