Thursday, November 21, 2024

Logo
Loading...
google-add

ED Raid : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর ইডি, পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি !

Maitreyi Mukherjee | 12:48 PM, Fri Feb 16, 2024

শুক্রবার সকাল থেকে আবারও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পাঁচটি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। নাকতলায় পার্থর বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দের। সেখানে তল্লাশি চালান ইডি (ED Raid) আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি, রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও চালানো হয় তল্লাশি। তার সঙ্গে বাঁশদ্রোনি ও বালিগঞ্জেও তল্লাশি চলে।


ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন রাজীব দে। তিনি পার্থ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আর আজ তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রোমোটিং-এর টাকা দুর্নীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।



এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল ওই কাউন্সিরলের বাড়িতে। পাঁচজন প্রোমোটারের সঙ্গে পার্থর যোগাযোগ ছিল বলে সন্দেহ রয়েছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই রাজীবের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত কোনও নথি উদ্ধার হয় কিনা তাই খুঁজে দেখছেন তদন্তকারীরা।


বাপ্পাদিত্য কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবেই পরিচিত তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে বহু বার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থ। সম্প্রতি দিল্লি থেকে পার্থের হয়ে সওয়াল করতে এসেছিলেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। পার্থের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। হাই কোর্টেও এই একই আর্জি নিয়ে মামলা করেন পার্থ। এর পর চলতি মাসের ৮ তারিখ বাপ্পাদিত্যকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই এই নয়া অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

google-add
google-add
google-add

সরকারি প্রকল্প

আপনার পছন্দ

পাহাড়

google-add
google-add
google-add