Thursday, May 02, 2024

Logo
Loading...
google-add

Hemant Soren : ইডি হেফাজতে থেকেই বিধানসভায় বক্তব্য রাখলেন হেমন্ত সোরেন

Maitreyi Mukherjee | 14:25 PM, Mon Feb 05, 2024

একেবারে বেনজির ঘটনা! জমি সংক্রান্ত ইডির হাতে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। গ্রেফতারির পর থেকে ইডি হেফাজতেই (Enforcement Directorate) ছিলেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি রাঁচীর বিশেষ অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর আজকের আস্থাভোটে অংশ নেওয়ার জন্য শনিবার হেমন্তের তরফে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনে অনুমতি দেয় আদালত। তার প্রেক্ষিতেই ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আজ বিধানসভায় যান তিনি। সেখানে গিয়ে নিজের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর গ্রেফতারির নেপথ্যে হাত রয়েছে রাজভবনের।

বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হেমন্ত। বলেন, "৩১ জানুয়ারি দিনটি দেশের গণতন্ত্রের একটা কালো রাত ও কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনের ভিতর থেকে গ্রেফতার করা দেশের ইতিহাসে এটা প্রথম ঘটনা। এটা আগে কখনও হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমার অনুমান, এই ঘটনায় রাজভবনের হাত ছিল।"

সরাসরি নাম না করা হলেও মনে করা হচ্ছে, তাঁর গ্রেফতারির জন্য রাজ্যপালকেই দায়ী করলেন হেমন্ত। বিজেপিকে তোপ দেখে তিনি বলেন, “যদি তাদের সাহস থাকে, তবে যে জমি আমার নাম নথিভুক্ত হয়েছে, তার নথি দেখাক। যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” তাঁর মতে, এই ঘটনার ছককষা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। বলেন, "৩১ জানুয়ারির ঘটনার ছক অনেক দিন আগে থেকেই কষা শুরু হয়েছিল। সেই ২০২২ সাল থেকেই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। কম আঁচে অনেকদিন ধরেই তারা রান্না করছিল। কিন্তু, রান্না এখনও শেষ হয়নি। রান্না অর্ধেক হতেই তারা আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে।"

জনজাতিদের উপর কোনও অত্যাচার এবং অপমান তিনি সহ্য করবেন না বলেও জানিয়ে দেন হেমন্ত। তাঁর কথায়, “এরা ভাবে আমাকে জেলে ভরে উদ্দেশ্য সফল হবে। এটা ঝাড়খণ্ড। দেশের এমন রাজ্য, যার প্রতি কোণে জনজাতিরা আছেন। রক্তের বিনিময়ে তাঁরা লড়াই করেছেন। জনজাতিদের জোর এত কম নয়।" তিনি না কেঁদে কান্না জমিয়ে রাখছেন বলেও দাবি করেছেন হেমন্ত। তিনি বলেন, “এদের কাছে জনজাতিদের চোখের জলের কোনও দাম নেই।” রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা ভোটের আগে নিজের জনজাতি ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতেই জোরালো এই বার্তা দিলেন হেমন্ত।

তবে গ্রেফতার হওয়া কোনও রাজনীতিক এর আগে বিধানসভায় এসে বক্তব্য রেখেছেন এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এবার সেই বেনজির ঘটনারই সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এদিন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। বক্তব্য রাখেন হেমন্তের গ্রেফতারির পর দল এবং সরকারের দায়িত্ব সামলানো ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। তার পরই বক্তব্য রাখেন হেমন্ত। আর নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি।

google-add
google-add
google-add

top middle news

DRISTIKONE

google-add

INTERNATIONAL

google-add
google-add

BLOG

google-add
google-add